Bangla Story
★Bangla Story★
আমি অপু,,,এখন অনার্স ২য় বর্ষে পড়ছি।
পরিবার এ আছেন আমার বাবা,,,মা,,,আর একটা পিচ্চি ভাই।
যাই হোক,,,
এবার আমার পরিচয় তো দিলাম।
এখন গল্পে ফিরা যাক।
সকাল বেলা তে অনেক চেঁচামেচি তে আমার ঘুমটা ভেঙে গেলো।
তারপর দেখলাম আমাদের এক আংকেল মানে বাবার বন্ধু
আমাদের বাড়ি এসেছেন তার পরিবার নিয়ে।
আন্টি কে দেখলাম কিন্তু তাদের সাথে আরো একজন এসেছিলো। হ্যা হ্যা যা ভাবছেন তাই।
নিলা আপু,,,
যার সাথে সেই ছোট্ট বেলা থেকে এক সাথে থাকতাম।
তার বাবা আবার একটা সরকারি ব্যান্ক এ চাকরি করেন।
তাই যথারিতি তার বদলি হয়ে যাওয়ায় তাদের সাথে আর দেখা হয় নি।
আর এবার জানতে পারলাম যে তারা নাকি এখন ঢাকাতেই থাকবে।
তাও আবার আমাদের পাশের বাসায়।
নিলা আপু আমার থেকে ১ বছরের বড়,,
সে অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ে।
আমার নিলা আপুকে বরাবরই অনেক ভালো লাগে।
কিন্তু নিলা আপু আমাকে তাড়িয়ে দেয় বারবার। তার মন্তব্য হলো,, আমি নাকি অনেক অনেক পাজি হয়ে গেছি। যেহেতু আমরা ছোট থেকেই তুই বলে ডাকি আর নাম ধরে ডাকি। এবং অনেক ফ্রি ও ছিলাম নিলার সাথে
আমি নিলা আপুকে দেখেই একটা চোখ মারলাম।
এ বাবা,,,আমি ঘরে এসে ঢুকতেই আমায় মারা শুরু করলো।
আর আমাদের এ কান্ড দেখে তো সবাই হাসতে হাসতে অস্থির।
তখন বললাম,,,
অপুঃ আরে আপু মারছিস কেনো,,, আহ লাগছে তো।
নিলাঃ পাজি,,,বেত্তমিজ,,,,বড়দের সাথে বেয়াদবি,,,দেখাচ্ছি তোর মজা।
অপুঃআউ আউ,,, আপু কান ছাড়।
নিলাঃ তোকে আজ মেরেই ফেলবো।
এতদিন ঢাকার বাইরে ছিলাম একটাও খবর নিলি না।
স্বার্থপর একটা। এখন দেখ মাইর খাইলে কেমন লাগে।
অপুঃ লক্ষী আপু,,,প্লিজ ছাড় না। আর হবে না।
আমি এটা বলতেই সে আমাকে ছেড়ে দিয়ে রাগে গজগজ করতে করতে বেরিয়ে গেলো।
আমার কাছে নিলাকে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু কখনো বলি নি। যাইহোক। কিন্তু
পরদিন,,,,,,,
মাঃ এই অপু,,,অপু,,,!!!!!!!!!
অপুঃজ্বি আম্মা,,বলো।
মাঃতুই তো ভার্সিটি তে যাচ্ছিস।
তাহলে নিলা কেও নিয়ে যা।
আমি এ কথা শুনে একটু ভাব নিলাম।
বললাম,,,,
অপুঃ পারবো না।
সাথে সাথে আমার চুলে শক্ত একটা টান খেলাম। এ বাবা। এইবার আর রক্ষা নাই।
নিলাঃ কি বললি মাত্র? আমাকে নিতে পারবি না তাই না? কোন রাজকার্য করতে যাবি তুই?
অপুঃইয়া আল্লাহ্। নিলা আমার চুল ছাড়।
আচ্ছা নেব নেব তোকে নিয়েই যাবো।
নিলাঃ হুম Good Boy....এখন চল।
আমি আর নিলা দুজনই ভার্সিটি তে চলে আসলাম।
আমি তখন ওর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বন্ধুদের সাথে কথা বলছিলাম।
তখন দেখি একটা ছেলে তার হাত ধরে তাকে প্রপোজ করার জন্যে চেষ্টা করছে। তারপর নিলা তাকে একটা থাপ্পড় মেরে দিয়ে ক্লাসে চলে গেলো।
ছেলে টা কাঁদতে কাঁদতে শেষ।
আমরা দেখে শুধু হাসছি।
তারপর ক্লাস শেষে নিলা আসলো আর বললো,,,,
নিলাঃ অপু,,,
অপুঃ হ্যা,,,বল
নিলাঃ চল আজকে একটু ঘুরতে যাই।
অপুঃ ঘুরতে? আচ্ছা চল।
তারপর পার্ক এ গেলাম। আরো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলাম। অনেক কিছু খেলাম আর তারপর বাসায় চলে আসলাম।
আস্তে আস্তে আমাদের এখনের সম্পর্ক টা ঠিক ছোট্ট বেলার সম্পর্কের মতো হয়ে গেলো।
আগের মতো একসাথে সকালে একসাথে বের হওয়া,,,যে যার ক্লাস শেষে দাঁড়িয়ে থাকা,,,,বিকাল হলে ঘুরতে বেরোনো।
আরো অনেক কিছু।
খুব ভালো সময় কাটাতাম আমি আর নিলা দুজন একসাথে।
আমি নিলাকে পছন্দ করি।
কিন্তু নিলার তো এইসব এর জন্যে সময় নেই। সে তার ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক সিরিয়াস আর সচেতন। আমি জানিনা যে কোনোদিন তাকে বলতে পারবো কিনা।
সব কিছু ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলাম।
তারপর শুক্রবার এ সবাই বললো নিলার হাতের রান্না খাবে।
আর নিলা বলেছে আমি যদি তাকে সাহায্য না করি তাহলে সে রান্না করবে না।
বাধ্য হয়ে রান্না করতে গেলাম তার সাথে।
তারপর দুপুরে সবাই খেতে বসলাম।
রান্না টা অনেক ভালো হয়েছিলো।
আমাদের সময় অনেক ভালো যাচ্ছিলো।
এক সাথে দিনের বেশিরভাগ সময় থাকতাম,,,,ঘুরতাম,,,একজন আরেকজনের টুকটাক কাজে হেল্প করতাম।
আরেকদিন আমি আর ওভার্সিটি তে যাওয়ার পর ও ক্লাসে চলে যাচ্ছিলো।
তারপর আরেকটি মেয়ে আমার কাছে কিছু নোটস নিতে এসেছিলো। তার নাম মিম।
আমি ওর সাথে কথা বলতে বলতে দেখি,,,নিলা আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে কী যেনো দেখছে।
তার দেখার ভাব টা তে বুঝলাম যে অনেক রাগ তার চোখে। অনেক অভিমান দেখতে পেলাম।
আমি মিম কে নোটস দিয়ে ক্লাসে চলে এলাম।
তার জন্যে দাঁড়িয়ে আছি।
অনেক্ষন পর সে আসলো।
দেখি তার চোখ গুলো ফোলা। দেখেই মনে হচ্ছে যে সে কেদেছে অনেক্ষণ।
আমি জিজ্ঞেস করলাম,,,,
অপুঃ এই নিলা,,,,কি হয়েছে তোর? তোর চোখ এভাবে ফোলা কেনো?
নিলাঃ না না আমার কিছু হয় নি।
আমার আসলে ধুলো বালি এগুলো তে এলার্জি। আমার তেমন কিছু হয়নি।
এই বলে সে আম্মুর সাথে দেখা করে চলে গেলো তার বাসায়। সে আমার সাথে অন্যদিন একটু বসে কথাবার্তা বলে তারপর যায়। কিন্তু আজ তো তাও করলো না। ব্যাপার টা আমার মাথায় ঠিক ঢুকলো না। আমিও কিছু না ভেবে নিজের কাজ করতে থাকলাম।
তারপর তার বাসা থেকে ফোন আসলো আমার কাছে।
আন্টিঃ হ্যালো অপু বাবা??
অপুঃ জ্বি আন্টি বলেন।
আন্টিঃ বাবা তোমাদের মধ্যে কি কোনো ঝগড়া হয়েছে?
অপুঃ না তো তেমন কিছু তো হয়নি কেনো আন্টি?
আন্টিঃ বাবা নিলা কাল থেকে কিচ্ছু খাচ্ছে না। আর আমি কিছু বুঝতে পারছি না মেয়েটার হুট করে কি হলো।
অপুঃ আন্টি আমি আসছি।
এই বলে ফোন কেটে দিয়ে অপু ছুটে যায় নিলার বাসায়।
গিয়ে দেখে নিলা বসে বসে কাঁদছে।।
তাকে জিজ্ঞেস করে অপু,,
অপুঃএই পাগলী,,,,,কাঁদছিস কেনো? কাল থেকেই দেখে যাচ্ছি তুই এভাবে কাঁদছিস,, আর আন্টি বললো যে তুই নাকি কিছু খাস ও নি। কেনো এমন করছিস বল না প্লিজ।
নিলাঃ না। আমার কিছু হয়নি,,,তুই যা। আর তুই বুঝবি না।চলে যা।
অপুঃ তা,,,,,,ভার্সিটি এর কারো প্রেমে পড়লি নাকি? নাম কি তার?
এ কথা বলতেই নিলা চেচিয়ে ওঠে,,,
নিলাঃ অপু!!!!!!!!!!!!!!!!
অপুঃ আচ্ছা সরি। এখন খেয়ে নে।
নিলাঃ না। খাবো না।
অনেক কষ্ট করে খাইয়ে রেখে আসে অপু নিলাকে।
আর অপু আজকের এই ব্যাপার টার সাথে আগে ঘটে যাওয়া ব্যাপার গুলো মিলাতে পারে না।
মিম এর সাথে কথা বলার পর থেকে নিলার এমন ভাবে তাকানো। বাসায় এসে কিছু না খাওয়া। আমার সাথে এভাবে কথা বলা। আর ওভাবে চিৎকার করা।
অপু এগুলো বুঝতে পারে না। আর নিলার ব্যাপার ও কিছু বুঝতে পারলো না।
পরদিন দেখে নিলা ছাদে দাঁড়িয়ে আছে।
অপু ও যায় তার কাছে।
তারপর বলে,,,,
অপুঃকিরে কি করিস?
নিলাঃ......(কথা বলেনা)
অপুঃ এই নিলা,,,তুই এমন করছিস কেনো? কি হয়েছে তোর? প্লিজ বল,,,,,।
নিলাঃ এই ফাজিল পোলা!!!!
আমাকে কাদাতে খুব ভালো লাগে তাই না?
তুই জানিস না আমি তোকে ভালোবাসি,,।
তুই শুধু আমার। আর কারো নয়। আর ওই কুত্তা,,,,মিম এর সাথে তোর এতো কি? কিসের পিরিত তোর ওই মাইয়ার সাথে? তুই জানস না? ওই মাইয়া টা ভালো না।
কেনো আমাকে এভাবে বারবার কষ্ট দেস বল তো? তুই জানিস না? তুই অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বললে আমার ভেতর টা পুড়তে থাকে। দহন হয়ে জ্বলতে থাকে আমার কলিজা টা।
আমি তোকে ছাড়া বাচতে পারবো না।
আমায় ছেড়ে চলে যাস না। প্লিজ।
অপু বুঝতে পারে না যে কি করবে।
অপু ও তাকে জড়িয়ে ধরে।
আর বলে হ্যা,,,,বাসি,,,অনেক ভালোবাসি তোকে। তোকে যে হারালে আমি এই মরে যাবো।
আমি আমার পাগলি টা কেই কাছে চাই।
আর ওই মেয়েটা তো আমার কাছে নোটস নিতে এসেছিলো।
আমার কিউট আপ্পি টা কে আমি অনেক ভালোবাসি।
এটা বলার পর নিলা অপুকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
আর বলে,,,,
নিলাঃ এইই যে মিস্টার,,,
অপুঃহুম?
নিলাঃপড়াশোনা শেষ করে চল বিয়েটা করে নিই।
অপুঃ এই,,,,এইটা তো আমার বলার কথা।
তুই বললি কেনো? কি গুন্ডি মেয়ে রে বাবা। আমি শেষ।
নিলাঃ ওই কুত্তা,,,বেশি পাকনামো করবি না। একবারে মাইরা হাত পা ভেঙে হুইলচেয়ারে বসিয়ে পরে বিয়ে করবো কিন্তু।
এই কথার পর দুজনই হেসে ওঠে।
অপু শুধু নিলাকে দেখছে।
আর নিলা অপু কে।
অনেক গুলো দিন অতিবাহিত হয়।
আর তাদের বিয়েটাও সম্পন্ন হয়।
এখন এই দুইজন একটা জোড়া।
আর সব থেকে বড় কথা অপু একটা নামি দামি কোম্পানি তে চাকরি পেয়েছে।
অবশেষে শুরু হলো তাদের নতুন এক জীবন। যেখানে কিউট নিলা আপু হলো পিচ্চি অপুর বউ।
তাদের পবিত্র জীবন শুরু হলো ঠিক এভাবেই।
( পাঠকগণ,,,ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন,,,,ধন্যবাদ।)
আমি অপু,,,এখন অনার্স ২য় বর্ষে পড়ছি।
পরিবার এ আছেন আমার বাবা,,,মা,,,আর একটা পিচ্চি ভাই।
যাই হোক,,,
এবার আমার পরিচয় তো দিলাম।
এখন গল্পে ফিরা যাক।
![]() |
সকাল বেলা তে অনেক চেঁচামেচি তে আমার ঘুমটা ভেঙে গেলো।
তারপর দেখলাম আমাদের এক আংকেল মানে বাবার বন্ধু
আমাদের বাড়ি এসেছেন তার পরিবার নিয়ে।
আন্টি কে দেখলাম কিন্তু তাদের সাথে আরো একজন এসেছিলো। হ্যা হ্যা যা ভাবছেন তাই।
নিলা আপু,,,
যার সাথে সেই ছোট্ট বেলা থেকে এক সাথে থাকতাম।
তার বাবা আবার একটা সরকারি ব্যান্ক এ চাকরি করেন।
তাই যথারিতি তার বদলি হয়ে যাওয়ায় তাদের সাথে আর দেখা হয় নি।
আর এবার জানতে পারলাম যে তারা নাকি এখন ঢাকাতেই থাকবে।
তাও আবার আমাদের পাশের বাসায়।
নিলা আপু আমার থেকে ১ বছরের বড়,,
সে অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ে।
আমার নিলা আপুকে বরাবরই অনেক ভালো লাগে।
কিন্তু নিলা আপু আমাকে তাড়িয়ে দেয় বারবার। তার মন্তব্য হলো,, আমি নাকি অনেক অনেক পাজি হয়ে গেছি। যেহেতু আমরা ছোট থেকেই তুই বলে ডাকি আর নাম ধরে ডাকি। এবং অনেক ফ্রি ও ছিলাম নিলার সাথে
আমি নিলা আপুকে দেখেই একটা চোখ মারলাম।
এ বাবা,,,আমি ঘরে এসে ঢুকতেই আমায় মারা শুরু করলো।
আর আমাদের এ কান্ড দেখে তো সবাই হাসতে হাসতে অস্থির।
তখন বললাম,,,
অপুঃ আরে আপু মারছিস কেনো,,, আহ লাগছে তো।
নিলাঃ পাজি,,,বেত্তমিজ,,,,বড়দের সাথে বেয়াদবি,,,দেখাচ্ছি তোর মজা।
অপুঃআউ আউ,,, আপু কান ছাড়।
নিলাঃ তোকে আজ মেরেই ফেলবো।
এতদিন ঢাকার বাইরে ছিলাম একটাও খবর নিলি না।
স্বার্থপর একটা। এখন দেখ মাইর খাইলে কেমন লাগে।
অপুঃ লক্ষী আপু,,,প্লিজ ছাড় না। আর হবে না।
আমি এটা বলতেই সে আমাকে ছেড়ে দিয়ে রাগে গজগজ করতে করতে বেরিয়ে গেলো।
আমার কাছে নিলাকে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু কখনো বলি নি। যাইহোক। কিন্তু
পরদিন,,,,,,,
মাঃ এই অপু,,,অপু,,,!!!!!!!!!
অপুঃজ্বি আম্মা,,বলো।
মাঃতুই তো ভার্সিটি তে যাচ্ছিস।
তাহলে নিলা কেও নিয়ে যা।
আমি এ কথা শুনে একটু ভাব নিলাম।
বললাম,,,,
অপুঃ পারবো না।
সাথে সাথে আমার চুলে শক্ত একটা টান খেলাম। এ বাবা। এইবার আর রক্ষা নাই।
নিলাঃ কি বললি মাত্র? আমাকে নিতে পারবি না তাই না? কোন রাজকার্য করতে যাবি তুই?
অপুঃইয়া আল্লাহ্। নিলা আমার চুল ছাড়।
আচ্ছা নেব নেব তোকে নিয়েই যাবো।
নিলাঃ হুম Good Boy....এখন চল।
আমি আর নিলা দুজনই ভার্সিটি তে চলে আসলাম।
আমি তখন ওর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বন্ধুদের সাথে কথা বলছিলাম।
তখন দেখি একটা ছেলে তার হাত ধরে তাকে প্রপোজ করার জন্যে চেষ্টা করছে। তারপর নিলা তাকে একটা থাপ্পড় মেরে দিয়ে ক্লাসে চলে গেলো।
ছেলে টা কাঁদতে কাঁদতে শেষ।
আমরা দেখে শুধু হাসছি।
তারপর ক্লাস শেষে নিলা আসলো আর বললো,,,,
নিলাঃ অপু,,,
অপুঃ হ্যা,,,বল
নিলাঃ চল আজকে একটু ঘুরতে যাই।
অপুঃ ঘুরতে? আচ্ছা চল।
তারপর পার্ক এ গেলাম। আরো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলাম। অনেক কিছু খেলাম আর তারপর বাসায় চলে আসলাম।
আস্তে আস্তে আমাদের এখনের সম্পর্ক টা ঠিক ছোট্ট বেলার সম্পর্কের মতো হয়ে গেলো।
আগের মতো একসাথে সকালে একসাথে বের হওয়া,,,যে যার ক্লাস শেষে দাঁড়িয়ে থাকা,,,,বিকাল হলে ঘুরতে বেরোনো।
আরো অনেক কিছু।
খুব ভালো সময় কাটাতাম আমি আর নিলা দুজন একসাথে।
আমি নিলাকে পছন্দ করি।
কিন্তু নিলার তো এইসব এর জন্যে সময় নেই। সে তার ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক সিরিয়াস আর সচেতন। আমি জানিনা যে কোনোদিন তাকে বলতে পারবো কিনা।
সব কিছু ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলাম।
তারপর শুক্রবার এ সবাই বললো নিলার হাতের রান্না খাবে।
আর নিলা বলেছে আমি যদি তাকে সাহায্য না করি তাহলে সে রান্না করবে না।
বাধ্য হয়ে রান্না করতে গেলাম তার সাথে।
তারপর দুপুরে সবাই খেতে বসলাম।
রান্না টা অনেক ভালো হয়েছিলো।
আমাদের সময় অনেক ভালো যাচ্ছিলো।
এক সাথে দিনের বেশিরভাগ সময় থাকতাম,,,,ঘুরতাম,,,একজন আরেকজনের টুকটাক কাজে হেল্প করতাম।
আরেকদিন আমি আর ওভার্সিটি তে যাওয়ার পর ও ক্লাসে চলে যাচ্ছিলো।
তারপর আরেকটি মেয়ে আমার কাছে কিছু নোটস নিতে এসেছিলো। তার নাম মিম।
আমি ওর সাথে কথা বলতে বলতে দেখি,,,নিলা আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে কী যেনো দেখছে।
তার দেখার ভাব টা তে বুঝলাম যে অনেক রাগ তার চোখে। অনেক অভিমান দেখতে পেলাম।
আমি মিম কে নোটস দিয়ে ক্লাসে চলে এলাম।
তার জন্যে দাঁড়িয়ে আছি।
অনেক্ষন পর সে আসলো।
দেখি তার চোখ গুলো ফোলা। দেখেই মনে হচ্ছে যে সে কেদেছে অনেক্ষণ।
আমি জিজ্ঞেস করলাম,,,,
অপুঃ এই নিলা,,,,কি হয়েছে তোর? তোর চোখ এভাবে ফোলা কেনো?
নিলাঃ না না আমার কিছু হয় নি।
আমার আসলে ধুলো বালি এগুলো তে এলার্জি। আমার তেমন কিছু হয়নি।
এই বলে সে আম্মুর সাথে দেখা করে চলে গেলো তার বাসায়। সে আমার সাথে অন্যদিন একটু বসে কথাবার্তা বলে তারপর যায়। কিন্তু আজ তো তাও করলো না। ব্যাপার টা আমার মাথায় ঠিক ঢুকলো না। আমিও কিছু না ভেবে নিজের কাজ করতে থাকলাম।
তারপর তার বাসা থেকে ফোন আসলো আমার কাছে।
আন্টিঃ হ্যালো অপু বাবা??
অপুঃ জ্বি আন্টি বলেন।
আন্টিঃ বাবা তোমাদের মধ্যে কি কোনো ঝগড়া হয়েছে?
অপুঃ না তো তেমন কিছু তো হয়নি কেনো আন্টি?
আন্টিঃ বাবা নিলা কাল থেকে কিচ্ছু খাচ্ছে না। আর আমি কিছু বুঝতে পারছি না মেয়েটার হুট করে কি হলো।
অপুঃ আন্টি আমি আসছি।
এই বলে ফোন কেটে দিয়ে অপু ছুটে যায় নিলার বাসায়।
গিয়ে দেখে নিলা বসে বসে কাঁদছে।।
তাকে জিজ্ঞেস করে অপু,,
অপুঃএই পাগলী,,,,,কাঁদছিস কেনো? কাল থেকেই দেখে যাচ্ছি তুই এভাবে কাঁদছিস,, আর আন্টি বললো যে তুই নাকি কিছু খাস ও নি। কেনো এমন করছিস বল না প্লিজ।
নিলাঃ না। আমার কিছু হয়নি,,,তুই যা। আর তুই বুঝবি না।চলে যা।
অপুঃ তা,,,,,,ভার্সিটি এর কারো প্রেমে পড়লি নাকি? নাম কি তার?
এ কথা বলতেই নিলা চেচিয়ে ওঠে,,,
নিলাঃ অপু!!!!!!!!!!!!!!!!
অপুঃ আচ্ছা সরি। এখন খেয়ে নে।
নিলাঃ না। খাবো না।
অনেক কষ্ট করে খাইয়ে রেখে আসে অপু নিলাকে।
আর অপু আজকের এই ব্যাপার টার সাথে আগে ঘটে যাওয়া ব্যাপার গুলো মিলাতে পারে না।
মিম এর সাথে কথা বলার পর থেকে নিলার এমন ভাবে তাকানো। বাসায় এসে কিছু না খাওয়া। আমার সাথে এভাবে কথা বলা। আর ওভাবে চিৎকার করা।
অপু এগুলো বুঝতে পারে না। আর নিলার ব্যাপার ও কিছু বুঝতে পারলো না।
পরদিন দেখে নিলা ছাদে দাঁড়িয়ে আছে।
অপু ও যায় তার কাছে।
তারপর বলে,,,,
অপুঃকিরে কি করিস?
নিলাঃ......(কথা বলেনা)
অপুঃ এই নিলা,,,তুই এমন করছিস কেনো? কি হয়েছে তোর? প্লিজ বল,,,,,।
নিলাঃ এই ফাজিল পোলা!!!!
আমাকে কাদাতে খুব ভালো লাগে তাই না?
তুই জানিস না আমি তোকে ভালোবাসি,,।
তুই শুধু আমার। আর কারো নয়। আর ওই কুত্তা,,,,মিম এর সাথে তোর এতো কি? কিসের পিরিত তোর ওই মাইয়ার সাথে? তুই জানস না? ওই মাইয়া টা ভালো না।
কেনো আমাকে এভাবে বারবার কষ্ট দেস বল তো? তুই জানিস না? তুই অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বললে আমার ভেতর টা পুড়তে থাকে। দহন হয়ে জ্বলতে থাকে আমার কলিজা টা।
আমি তোকে ছাড়া বাচতে পারবো না।
আমায় ছেড়ে চলে যাস না। প্লিজ।
অপু বুঝতে পারে না যে কি করবে।
অপু ও তাকে জড়িয়ে ধরে।
আর বলে হ্যা,,,,বাসি,,,অনেক ভালোবাসি তোকে। তোকে যে হারালে আমি এই মরে যাবো।
আমি আমার পাগলি টা কেই কাছে চাই।
আর ওই মেয়েটা তো আমার কাছে নোটস নিতে এসেছিলো।
আমার কিউট আপ্পি টা কে আমি অনেক ভালোবাসি।
এটা বলার পর নিলা অপুকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
আর বলে,,,,
নিলাঃ এইই যে মিস্টার,,,
অপুঃহুম?
নিলাঃপড়াশোনা শেষ করে চল বিয়েটা করে নিই।
অপুঃ এই,,,,এইটা তো আমার বলার কথা।
তুই বললি কেনো? কি গুন্ডি মেয়ে রে বাবা। আমি শেষ।
নিলাঃ ওই কুত্তা,,,বেশি পাকনামো করবি না। একবারে মাইরা হাত পা ভেঙে হুইলচেয়ারে বসিয়ে পরে বিয়ে করবো কিন্তু।
এই কথার পর দুজনই হেসে ওঠে।
অপু শুধু নিলাকে দেখছে।
আর নিলা অপু কে।
অনেক গুলো দিন অতিবাহিত হয়।
আর তাদের বিয়েটাও সম্পন্ন হয়।
এখন এই দুইজন একটা জোড়া।
আর সব থেকে বড় কথা অপু একটা নামি দামি কোম্পানি তে চাকরি পেয়েছে।
অবশেষে শুরু হলো তাদের নতুন এক জীবন। যেখানে কিউট নিলা আপু হলো পিচ্চি অপুর বউ।
তাদের পবিত্র জীবন শুরু হলো ঠিক এভাবেই।
( পাঠকগণ,,,ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন,,,,ধন্যবাদ।)
No comments