গল্পঃ #ব্যাচেলার
গল্পঃ #ব্যাচেলার
পর্বঃ ২য়
ক্লাসে গিয়ে দেখি মেয়েটি আমাদের ক্লাসেই বসে আছে ।মনে হয় মেয়েটি আমাদের সাথেই পড়ে । আমিও ক্লাসের পিছনের দিকের একটা বেঞ্চিতে গিয়ে বসে পড়লাম । মেয়েটি আমাকে আড়চোখে বারবার দেখছিল । হঠাত্ ক্লাসে স্যার চলে আসলেন । তিনি আমাদের সবার সাথে পরিচিত হতে শুরু করলেন । স্যার মেয়টির নাম জিগ্গাসা (ask) করলেন । মেয়েটির নাম বললো মেঘা ।( আমি ফ্লাসব্যাকে চলে গেলাম আমার সেই স্কুল লাইফে । মেঘা ছিল আমার সেই ক্রাস যাকে প্রপোজ করাতে আমাকে ৫ থাপ্পর মেরেছিল । থাক এখন আর সেই কথা বলে নিজের ইমেজ নষ্ট করব না । বেশি কেঁচো খুড়লে সাপ বের হয়ে যাবে । ফিয়ে এলাম বাস্তবতায় ।)
মেয়েটির নাম শুনে আমি এমনিতেই খুশি হয়েছিলাম । তারপরেও মেয়েটি আবার হিন্দু । এবার ডাবল খুশি । ভাবলাম একবার চান্স মারা যাবে ।ক্লাসটি যেন খুব অল্প সময়েই শেষ হয়ে গেল । ক্লাস থেকে বের হয়ে যাব এমন সময় মেঘার ডাকঃ
মেঘাঃ শেষ পর্যন্ত আমাকে ফলো করে আমার ক্লাস পর্যন্ত চলে এসেছেন
আমিঃ আপনি যা ভাবছেন তা না । আমিও নতুন আর আমিও ব্যবস্থাপনা অনুষদেই পড়ি
মেঘাঃ আমার ভুল হয়ে গেছে । না বুঝেই আপনাকে অনেক কথা শুনিয়ে দিয়েছি । আসলে বর্তমানে যে হারে বকাটে ছেলে বেড়েছে তাতে কাউকেই ভরসা পায় না ।
আমিঃ ঠিক আছে (মনে মনে,মেয়েরা বোঝে কম আর লাফায় বেশি)
মেঘাঃআমরা বন্ধু হতে পারি কী
আমিঃ (মনে মনে, কিন্তু আমি যে বন্ধু থেকে একটু বেশি হতে চায়)
মেঘাঃ কী হলোওওওও
আমিঃ হ্যাঁ ,অবশ্যই
এভাবেই মেঘার সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল ।দেখতে দেখতে আমাদের স্বপ্নের তিনটি বছর কেটে গেল । এখন আমরা অনার্স ৪র্থ বর্ষে । এখন আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক টা শুধু বন্ধুত্বের নেই । হয়তো একটু বেশি । কোনো এক মহান ব্যক্তি বলেছিলেনঃ দুজন সময়বয়সী বালক বালিকা কখনোই ভাল বন্ধু হতে পারে না ।তারা অবশ্যই ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হবে । আমারাও আবদ্ধ হয়েছিলাম সেই বন্ধনে । মেঘা আমার অনেক কেয়ার করতো । কেয়ারিং শেয়ারিং এর মধ্যে দিয়ে চলে যাচ্ছিল আমাদের দিনগুলি । মাঝে মাঝে পাগলির ছোট ছোট পাগলামি পূরন করতাম । স্বপ্নের মতো আমার দিনগুলি কাটছিল । সেই মূহুর্তে আমি নিজেকেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ মনে করতাম । হঠাত্ যেন মেঘা একটু একটু বদলে যেতে শুরু করলো । আমাকে এড়িয়ে যেতে শুরু করল । প্রিয় মানুষটা বদলে যাওয়ার যে কী যন্ত্রনা আমি সেটা খুব ভাল ভাবেই বুঝতেছিলাম
চলবে...........
পর্বঃ ২য়
ক্লাসে গিয়ে দেখি মেয়েটি আমাদের ক্লাসেই বসে আছে ।মনে হয় মেয়েটি আমাদের সাথেই পড়ে । আমিও ক্লাসের পিছনের দিকের একটা বেঞ্চিতে গিয়ে বসে পড়লাম । মেয়েটি আমাকে আড়চোখে বারবার দেখছিল । হঠাত্ ক্লাসে স্যার চলে আসলেন । তিনি আমাদের সবার সাথে পরিচিত হতে শুরু করলেন । স্যার মেয়টির নাম জিগ্গাসা (ask) করলেন । মেয়েটির নাম বললো মেঘা ।( আমি ফ্লাসব্যাকে চলে গেলাম আমার সেই স্কুল লাইফে । মেঘা ছিল আমার সেই ক্রাস যাকে প্রপোজ করাতে আমাকে ৫ থাপ্পর মেরেছিল । থাক এখন আর সেই কথা বলে নিজের ইমেজ নষ্ট করব না । বেশি কেঁচো খুড়লে সাপ বের হয়ে যাবে । ফিয়ে এলাম বাস্তবতায় ।)
মেয়েটির নাম শুনে আমি এমনিতেই খুশি হয়েছিলাম । তারপরেও মেয়েটি আবার হিন্দু । এবার ডাবল খুশি । ভাবলাম একবার চান্স মারা যাবে ।ক্লাসটি যেন খুব অল্প সময়েই শেষ হয়ে গেল । ক্লাস থেকে বের হয়ে যাব এমন সময় মেঘার ডাকঃ
মেঘাঃ শেষ পর্যন্ত আমাকে ফলো করে আমার ক্লাস পর্যন্ত চলে এসেছেন
আমিঃ আপনি যা ভাবছেন তা না । আমিও নতুন আর আমিও ব্যবস্থাপনা অনুষদেই পড়ি
মেঘাঃ আমার ভুল হয়ে গেছে । না বুঝেই আপনাকে অনেক কথা শুনিয়ে দিয়েছি । আসলে বর্তমানে যে হারে বকাটে ছেলে বেড়েছে তাতে কাউকেই ভরসা পায় না ।
আমিঃ ঠিক আছে (মনে মনে,মেয়েরা বোঝে কম আর লাফায় বেশি)
মেঘাঃআমরা বন্ধু হতে পারি কী
আমিঃ (মনে মনে, কিন্তু আমি যে বন্ধু থেকে একটু বেশি হতে চায়)
মেঘাঃ কী হলোওওওও
আমিঃ হ্যাঁ ,অবশ্যই
এভাবেই মেঘার সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল ।দেখতে দেখতে আমাদের স্বপ্নের তিনটি বছর কেটে গেল । এখন আমরা অনার্স ৪র্থ বর্ষে । এখন আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক টা শুধু বন্ধুত্বের নেই । হয়তো একটু বেশি । কোনো এক মহান ব্যক্তি বলেছিলেনঃ দুজন সময়বয়সী বালক বালিকা কখনোই ভাল বন্ধু হতে পারে না ।তারা অবশ্যই ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হবে । আমারাও আবদ্ধ হয়েছিলাম সেই বন্ধনে । মেঘা আমার অনেক কেয়ার করতো । কেয়ারিং শেয়ারিং এর মধ্যে দিয়ে চলে যাচ্ছিল আমাদের দিনগুলি । মাঝে মাঝে পাগলির ছোট ছোট পাগলামি পূরন করতাম । স্বপ্নের মতো আমার দিনগুলি কাটছিল । সেই মূহুর্তে আমি নিজেকেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ মনে করতাম । হঠাত্ যেন মেঘা একটু একটু বদলে যেতে শুরু করলো । আমাকে এড়িয়ে যেতে শুরু করল । প্রিয় মানুষটা বদলে যাওয়ার যে কী যন্ত্রনা আমি সেটা খুব ভাল ভাবেই বুঝতেছিলাম
চলবে...........
No comments